দেড় মাস পর বেনাপোলে রেলে আমদানি-রপ্তানি শুরু
প্রকাশিত : ২০:৩৬, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
টানা দেড় মাস বন্ধ থাকার পর বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে রেলপথে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য শুরু হয়েছে।
দুই দেশের আলোচনার প্রেক্ষিতে আনুষ্ঠানিকভাবে বৃহস্পতিবার থেকে পুনরায় শুরু হয় রেলপথে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য।
এদিন ভারত থেকে রেলে দুইটি চালানে ২ হাজার ৪৬০ টন জিপসাম সার এবং ৬১ টি ট্রাক্টর আমদানি হয়েছে। তবে এখনও বন্ধ রয়েছে যাত্রী পারাপারের ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণ দেখিয়ে নিরাপত্তাজনিত কারণে গত ১৯ জুলাই থেকে দুই দেশের মধ্যে রেলপথে পণ্য পরিবহন এবং যাত্রী যাতায়াত বন্ধ রাখে ভারতীয় রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
বন্দর সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশে সড়ক পথের পাশাপাশি রেলপথে ভারতের সাথে বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি বাণিজ্যসহ পাসপোর্ট যাত্রী যাতায়াত করে থাকে। ৫ আগস্ট গণঅভ্যুথানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার ব্যবস্থায় স্বাভাবিক হয় দেশ।
এরপর বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বাণিজ্য ও যাত্রী চলাচলের দাবিতে ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষকে গত ১২ আগস্ট একটি
চিঠি দেন। কিন্তু বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে সাড়া না দেওয়ায় বাংলাদেশে বাণিজ্যিক ক্ষতির পাশাপাশি বাংলাদেশ নির্ভর ভারতের
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানও অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়ে। একপর্যায়ে ভারত সরকার টানা দেড় মাস পর বৃহস্পতিবার রেলপথে পণ্য পরিবহন সেবা চালু করেছে।
আমদানিকারক সাজেদুর রহমান বলেন, এ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে রেলপথে পাথর, জিপসাম ও সিমেন্ট তৈরির সামগ্রী আমদানির পাশাপাশি গার্মেন্টস, কেমিকেল, মোটরকারসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য আমদানি হয়ে থাকে।
ভারতের কলকাতা থেকে সড়ক পথে ট্রাকে পণ্য পরিবহনে ৫ থেকে ৭ দিন সময় লেগে যায়। সেখানে রেলপথে ৩
থেকে ৪ ঘণ্টায় বেনাপোল বন্দরে পণ্য পৌঁছে যায়।
বেনাপোল ল্যান্ডপোর্ট ইমপোর্টাস এন্ড এক্সপোর্টাস এ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক জিয়াউর রহমান বলেন, জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় নিরাপত্তাজনিত কারণ দেখিয়ে বেনাপোল দিয়ে রেলপথে আমদানি বাণিজ্য বন্ধ থাকে। এতে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির মুখে পড়েন। পুনরায় এ বন্দর দিয়ে রেলপথে আমদানি বাণিজ্য চালু হওয়ায় ব্যবসায়ীদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
এসবি/
আরও পড়ুন